Wednesday 18 January 2017

সুপারিম্পোজড যা কিছু

সুপারিম্পোজড যা কিছু


আলোলিকা আমাদের যা কিছু শারীরিক সবই বিছানার ব্যাকগ্রাউন্ডে আগুনের খেলা।বিছানার এককোনে টাঙানো ধর্ষিত চাঁদ,হেসে উঠেছে খিলখিল।থ্যাঁতলানো প্যারোটিডঘন দুটো চোখ,যার ভেতর দিয়ে মানুষ নয় রক্তাক্ত পরিসর ভেসে ওঠে।তিনকাপ কফির অর্ডার ছিল একমাত্র তোমার কফির রঙ ছিল অ্যাকোয়া সেদিন।পোষ মানা রিমোটের বোতামের ফাঁকে একটা মাইক্রোমনষ্ক সংসার,ধরে নাও ব্যাকটেরিয়ার।কার্তিয়ের ব্রেসোঁ বলেছেন-‘তোমার প্রথম একহাজার ফোটোগ্রাফ ফেলে দাও,এবার তুমি দক্ষতা লাভ করেছো।’অথচ প্রথম একহাজার ছবির মধ্যে আমাদের সিমলা যাওয়ার ছবি,আমি কীভাবে বড় হলাম ও অন্যান্য,মায়ের গানের শিক্ষক,বাবার ফুটবল খেলায় পাওয়া স্টিলের থালা হাতে হাসি-এসবই লুকিয়ে রাখা আছে,আমি ফেলে দিতে পারবো না আলোলিকা,আজ তুমি দক্ষতা ফিরিয়ে নিয়ে যাও।‘ওদিকে যেও না’,-মহাবিশ্ব থেকে ‘সময়’ আমাদের সম্ভবত এরকমই কিছু বলে মুখ ঘুরিয়ে সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে গেছিলো।আমরা সত্যি কথা বলতে এখন আগ্রহও হারিয়ে ফেলেছি।কি সাহস জানো? তোমার নামের পাশ থেকে পদবী তুলি নিয়ে নিজের পদবী বসাতে গিয়ে দেখি উরুদ্বয় বিছিয়ে শুয়ে আছে মিথিলিন স্বাধীনতা।একদিন মনে পড়ে তোমার ত্বকরন্ধ্রে গীটার বেজ উঠেছিলো আর তুমি ইউএসবি পাওনি বলে যা কিছু বক্তব্য তা ঊর্মিল পসিবিলিটির দিকে ছুঁড়ে দিয়েছো আর আমার দিকে ফিরে বলেছো-বলেছিলাম আমার কথা বাতাস বইতে পারে না।সাড়ে তিনমিনিট তাকিয়ে থাকলে দাবানল হয় একথা তুমি জন্মে শুনেছো?কি করবে বলো আমাদের এমনকি যৌনতাতেও ফ্লেভার লাগে।বরং গলা ফাটিয়ে,রগ টিপে ধরে চিৎকার করে বলি-আজ আমাদের স্বপ্নের নাম রুস্তম,রাগ মল্লার।চিন্তা কোরো না আমদের গ্র্যাচুইটি পাড়ায় অধিবেশন বসেনা এখন।যেইমাত্র আমাদের গলি শেষ হয় আমরা ঢুকে পড়ি আরো একটা ইটার্নাল বাইলেনে। নোংরা পাতলুনের সংসারে ছুঁচওলা এক দিদিমা থাকেন,যার গায়ের রঙ ধূসর,পান্ডুলিপি কুঁচকে গ্যাছে,এখন আর কবিতা লেখেনা কেউ।বস্তির হাইড্রেন থেকে উঠে আসে তাক করে রাখা ক্যামেরা স্নাইপারস্তব্ধতায়।দুপুরের নিষ্ক্রান্ত প্রহরে অপরাজিত সৈনিকের মত আমার আধপোড়া মা,অপার আঁচল,বিভীষিকা আলোলিকা,গলা আর কলারবোনের মধ্যে একটা গভীর গর্ত,তাতে ডিসচার্জ করা চাপ চাপ রক্ত,সম্ভবত আমার বাবার।কি বলতো বাবা আর আমার মাঝে রাখা হয়েছে এক নির্বোধ দাঁড়িপাল্লা,টিকটিক সহযোগে তা ক্রমশ আমার দিকে হেলে পড়ছে,আর বাটখারা বাবার বুকে চেপে বসছে কুমিরের মত।এখন রাতের দিকে আমাদের সংসারের নাম রাখি-‘প্যাথোলজি ল্যাব’।

                                            ১৮.০১.১৭

No comments:

Post a Comment